প্রকাশিত :
২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৪৭:৪৩
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও সীমান্ত এলাকায় নতুন এক অদ্ভুত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কম্বোডিয়ার সিনেট প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন অভিযোগ করেছেন, থাইল্যান্ড তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় ‘ভূতের আওয়াজ’ সম্প্রচার করছে। সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
হুন সেন মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, তিনি মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদিকে জানিয়েছেন, থাই পক্ষের এই ভয়ংকর শব্দ সারেং ও প্রেই চান সীমান্ত গ্রামের মানুষদের চার রাত ধরে আতঙ্কিত করছে।
তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে সীমান্তের উত্তেজনা কমাতে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান, তবে বলেন, পরিস্থিতি এখনো নাজুক।
গত জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী সংঘর্ষে ডজনখানেক মানুষ নিহত হয় ও ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়। ২৮ জুলাই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও, পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে।
‘কান চম্পালাং’ নামে পরিচিত থাই নাগরিক কান্নাওয়াত পংপাইবুলওয়েচ সীমান্তের বান নং চান ও বান নং ইয়াকেও এলাকায় শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ‘ভূতের সিনেমা’ ও ভয়ানক শব্দ প্রচারের নেতৃত্ব দেন। থাই সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়েই এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি। তার দাবি, এটি ছিল থাই ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী কম্বোডীয়দের ভয় দেখিয়ে তাড়ানোর কৌশল।
কম্বোডীয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী নেথ ফিয়াকত্রা বলেন, ‘এটি শুধু শব্দ দূষণ নয়, মানুষের বিশ্রামের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবাধিকারের অবমাননা।’
তবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্ণভিরাকুল বলেছেন, ‘আমরা কেবল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই এটি করেছি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নয়।’
থাই সীমান্তবাসীরাও এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছে, ‘এতে যদি অনুপ্রবেশকারীরা সরে যায়, তাহলে আমরা ঘুম ত্যাগ করতেও রাজি।’
সেনাবাহিনী জানায়, সব কার্যক্রম থাই ভূখণ্ডেই হয়েছে। বুরাপা টাস্ক ফোর্স কমান্ডার বেনজাপল দেশাতিওয়ং বলেন, ‘ওরা অভিযোগ করলেও যায় আসে না। আমরা আমাদের জমিতেই কাজ করেছি।’