প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৫৭:৫৩
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের পর ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হস্তান্তর করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে রায় নিয়ে ভারত সরকার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, এই রায়ের ফলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লির অবস্থান বদলাচ্ছে না এবং তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ারও কোনো প্রশ্ন উঠছে না।
বস্তুত শেখ হাসিনা যেদিন থেকে ভারতে পা রেখেছেন, মানে সেই ৫ অগাস্ট ২০২৪ থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে তাকে আশ্রয় বা আতিথেয়তা দেওয়া নিয়ে ভারতের অবস্থান অবিকল একই রকম আছে।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলার দেওয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত – বা ভারতের মাটিতে তাকে আপাতত রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত – পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, দুই দেশের মধ্যেকার অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের যে দাবি জানিয়েছে – তার কী হবে?
যার সহজ জবাব হলো- সেই চিঠি পাওয়ার পর বছর ঘুরতে চললেও ভারত সেটি নিয়ে এতদিন একেবারে চুপচাপ বসেছিল, এবার চাপ বাড়লেও শেষ পর্যন্ত তা অনিশ্চয়তার মধ্যেই থেকে যাবে।
কারণ একান্ত আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বারেবারেই বলেছেন, প্রত্যর্পণ চুক্তির হাজারটা ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে এই হস্তান্তরের অনুরোধ নাকচ করার বা দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রেখে কালক্ষেপণ করার অজস্র সুযোগ রয়েছে – প্রয়োজন হলে ভারত যে কোনো সময় সেই রাস্তাও নিতে পারে।