প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০৫:৪৩
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। এছাড়া, ভারতের প্রায় প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়কে অন্য সব খবরের চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পরই দেশটির গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।
দেশটির প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড’।
ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, ‘শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেলেন মৃত্যুদণ্ড। সাবেক পুলিশ প্রধান রেহাই পেলেন মৃত্যুদণ্ড থেকে’।
টাইমস অব ইন্ডিয়া শিরোনম করেছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ: বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড’।
দ্য হিন্দু প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড; নিরাপত্তা উচ্চ সতর্কতায়’।
কর্ণাটক থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ডেকান হেরাল্ড লিখেছে, ‘বাংলাদেশের আদালত ক্ষতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে’।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লাইভ আপডেটে শিরোনাম করেছে, ‘হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে’। দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন লিখেছে, ‘বাংলাদেশ: হাসিনার সরকার গঠিত ট্রাইব্যুনাল তারই মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে’। আরেকটি প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি শিরোনাম করেছে, “শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের ‘লৌহমানবী’র উত্থান, রাজত্ব এবং ধ্বংস”।
ইকোনমিক টাইমস শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনার রায়: ছাত্র নিপীড়নের জন্য বহিষ্কৃত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে’।
পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন লিখেছে, ‘হাসিনাকে ফাঁসির সাজাই দিল বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল! রায় ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ল আদালতকক্ষ’। আরেক প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, ‘মামলা রুজু থেকে রায়দান, নিজের তৈরি ট্রাইব্যুনালেই ৩৯৭ দিন ধরে বিচার হল হাসিনার! কারা, কী সাক্ষ্য দিলেন?’
সংবাদ প্রতিদিন শিরোনাম করেছে, ‘বদলের বাংলাদেশে বদলা! মৃত্যুদণ্ড হাসিনার, ফাঁসির সাজা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে’।
এদিকে পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমেও হাসিনার রায়ের খবরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড।’
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে চলে যান তিনি। এখনও সেখানেই আছেন এ মানবতাবিরোধী অপরাধী।