মিস ইউনিভার্সে কারচুপি, পদত্যাগ দুই বিচারকের

মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর মাতাচ্ছেন বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। এরমধ্যেই দেশি পোশাকের ঐতিহ্য জামদানি শাড়িতে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। আর এই জামদানি শাড়ির মোটিফে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। এই মিথিলার সঙ্গেই পিপলস চয়েস-এ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ফিলিপাইন্সের মেয়ে আহতিসা মানালোর।

এদিকে, পিপলস চয়েস-এ ভোট দেওয়ার সময়ও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত দেওয়া যাবে ভোট। আর আগামীকাল শুক্রবার থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্র্যান্ড ফিনালে।

মিস ইউনিভার্সের এই জমজমাট আসর যখন বাংলাদেশের মানুষের মুখেমুখে, ঠিক তখনই ঘটলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিতর্কের মুখে পড়লো বিশ্বের এই সবচেয়ে বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতা। উঠেছে কারচুপির অভিযোগ। এটিকে ঘিরে বিচারক প্যানেল থেকে পরপর দুই সদস্যের পদত্যাগ ঘিরে আলোচনায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

লেবানন-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ ইনস্টাগ্রামে বিচারক প্যানেল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে অভিযোগ করেন, “প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই একটি ‘তাৎক্ষণিক জুরি’ গঠন করে গোপনে ৩০ জন ফাইনালিস্ট বাছাই করা হয়েছে। তার দাবি, ১৩৬টি দেশের প্রতিযোগীর মধ্য থেকে কারা ফাইনালে যাবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে—আর এ প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই প্রকৃত বিচারকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।”

হারফুশ আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। অনানুষ্ঠানিক এই জুরিতে এমন ব্যক্তিরা আছেন—যাদের সঙ্গে কিছু প্রতিযোগীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।’

হারফুশের অভিযোগ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ মেকেলেলেও বিচারক প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি যদিও ‘অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তবুও একই দিনে দুই বিচারকের পদত্যাগ প্রতিযোগিতা ঘিরে প্রশ্ন আরো জোরালো করেছে।

এদিকে হারফুশের অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ফাইনালিস্ট নির্বাচন বা মূল্যায়নের জন্য কোনো পক্ষকে অনুমোদন করা হয়নি। তারা বলছে, বিচারক হারফুশ এটিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন।

সব মিলিয়ে এ বছরের মিস ইউনিভার্স ঘিরে নাটকীয়তা এবং কারচুপির অভিযোগ প্রতিযোগিতার ন্যায়সঙ্গতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে—যখন বিশ্বব্যাপী লাখো দর্শক অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার জন্য।