গাজার নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলের আক্রমণে নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়টি জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে আরও ৩০১ জন নিহতের সংখ্যায় যোগ হওয়ার পর মোট মৃত্যু ৭০ হাজার ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, ওই ৩০১ জনের মধ্যে দুজন সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন আর বাকিদের গাজার ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মরদেহের অবশিষ্টাংশ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিহতের এই সর্বশেষ সংখ্যা নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। গাজা থেকে আসা নিহতের পরিসংখ্যানের নির্ভুলতা নিয়ে ইসরায়েল সব সময় প্রশ্ন তুলে এসেছে যদিও তারা কখনোই নিজেদের অনুমান প্রকাশ করেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই ভয়াবহ পাল্টা হামলা চালিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। এরপর দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে গাজাকে প্রায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে হতাহতের নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম মাসগুলোতে গাজার কর্মকর্তারা হাসপাতালে আনা মরদেহ গণনা করে নিহতদের নাম ও শনাক্ত নম্বর নথিবদ্ধ করতেন। পরবর্তীতে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা কয়েক হাজার প্রকাশিত মৃত্যুর তথ্য নথিবদ্ধ করা থেকে বিরত থাকে। এবং সেগুলোর ফরেনসিক, মেডিকেল ও আইনি পরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিক তালিকায় তোলার জন্য অপেক্ষা করেছে।

চলতি বছরের ১০ অক্টোবর থেকে একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজার কর্তৃপক্ষ অপেক্ষাকৃত শান্ত সময়ের সুযোগে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মরদেহ খোঁজার কাজ শুরু করে। এতে প্রকাশিত মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।

যুদ্ধের আগে মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় গাজার জনসংখ্যার পরিসংখ্যান ও স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থা উন্নত ছিল বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। জাতিসংঘ অনেকবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মৃত্যুর পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করেছে আর সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য বলে মত দিয়েছে।