প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৫, ৬:২৪:১৬
গত ২২ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে চালানো মার্কিন হামলায় তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রায় দুই বছর পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল। স্থানীয় সময় বুধবার (২ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই মূল্যায়ন তুলে ধরেন। খবর রয়টার্সের।
পার্নেল বলেন, “আমরা তাদের কর্মসূচি এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছি অন্তত প্রতিরক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিশ্লেষণে তাই দেখা গেছে।” যদিও এই মূল্যায়নের পক্ষে তিনি সরাসরি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
২২ জুনের হামলার বিবরণ
গত ২২ জুন মার্কিন সামরিক বাহিনীর বোমারু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ থেকে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় এক ডজনেরও বেশি ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা এবং ২০টিরও বেশি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এই হামলাকে বলা হচ্ছে ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযানের একটি।
স্থাপনার ধ্বংস দাবি
পেন্টাগনের মুখপাত্র আরও দাবি করেন, “আমাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ করে ইরানের যেসব পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।”
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সম্প্রতি বলেন, ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই আবারও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে সক্ষম হতে পারে। ফলে মার্কিন হামলার প্রকৃত কার্যকারিতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইউরেনিয়াম সরানোর সন্দেহ
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, হামলার আগেই ইরান ফোর্ডোসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো থেকে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করতে পেরেছে। যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই বিষয়ক কোনো গোয়েন্দা তথ্যের কথা অস্বীকার করেছেন।