প্রকাশিত :
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:৪২:৫৩
বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র পুরোনো জেলখানা পুকুরে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার শুরু করেছেন রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহসভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বাগেরহাট ইউনিটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করেছেন। ধারণা করছি বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে শহরের সব জলাশয়ে পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পরে হলেও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।
বাগেরহাট শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্বপাশে পুরোনো শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরোনো জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এই পুকুরের আশপাশের বাসিন্দা ও হোটেল-রেস্টুরেন্টে এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতেন।
৬ বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ ছিল। যার ফলে বাধ্য হয়ে জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা দূষিত পানিতে অজু করতেন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই পানি ব্যবহার করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মামুন বলেন, পুকুরটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এই পুকুর থেকেই আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা থাকলেও, সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে, এজন্য আমরা খুবই আনন্দিত।