প্রকাশিত :
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:১১:২৪
জামালপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রীর বড় ভাই মো. রাশেদুল ইসলাম।
প্রেসক্লাব জামালপুর মিলনায়তনে শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও সেই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বড় ভাই মো. রাশেদুল ইসলাম। অভিযোগকারী পৌর শহরের দক্ষিণ কাচারীপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম জানান, তারা এক ভাই ও এক বোন। তাদের মা মোছা. রাবেয়া খাতুন এখনও জীবিত। বাবা হারুন অর রশিদ চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর জামালপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের বসতবাড়ি সিংহজানী মৌজার ২২ শতাংশ জমি তাকে রেজিস্ট্রি করে দেন। এর আগে তার ছোট বোন মনিরা আক্তারকে ১০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তার বোন বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে, তিনি নাকি ঘুষ দিয়ে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করিয়েছেন।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, 'আমারর ছোট বোন মনিরা আক্তারের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার তার প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতারণার মামলা দিয়েছে এবং আমাদের হয়রানি করছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। সেখানে আমি, আমার মা ও আত্মীয়-স্বজন স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছি। আমরা সরকারি খরচে নিয়ম অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি করেছি। ঘুষের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট।'
রাশেদুল বলেন, 'আমাদের পৈত্রিক আরও অনেক জমি রয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর বোন ওয়ারিশ হিসেবে সেই জমির অংশ পাবেই। কিন্তু বসতবাড়ির জমি আমাকে লিখে দেওয়ার পর থেকে বোন ও তার পুলিশ স্বামী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা মামলা ও হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির তীব্র প্রতিবাদ জানাই।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, 'এটা পারিবারিক বিষয়। জমির মালিক তো আমি নই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।'