প্রকাশিত :
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:৪৫:৩৭
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে কখনোই দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মহেশালী গ্রামে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রাহাত আরা বেগম বলেন, ১৯৮৮ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন প্রথম নির্বাচন করেন, তখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ছিল চরম সংকটে। সে সময় ঢাকায় চাকরি ছেড়ে পরিবারকে রেখে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে এসে পৌরসভার হাল ধরেন এবং সাইকেল প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচনে অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মির্জা ফখরুল কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার স্বামী ও শ্বশুর—উভয়ের মন্ত্রীত্বকালীন সময়ের ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের প্রমাণ পাননি।
রাহাত আরা বেগমের ভাষ্য, “তারা বাবা-ছেলেই কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। অথচ কোথাও এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণও পাওয়া যায়নি।”
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন মির্জা ফখরুলের শেষ নির্বাচন হতে পারে। বয়সের কারণে ভবিষ্যতে আর নির্বাচন করার সুযোগ নাও থাকতে পারে। তাই ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এবার তাকে জয়ী করে জাতীয় পর্যায়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন আরও বেগবান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিবের ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।