আপডেট :
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫৪:১৭
খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশিদের দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এমডি আসলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করার পর রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে অর্থের বিনিময়ে অসুস্থতার ঠুনকো অজুহাতে রাতের আঁধারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কেসিসি মার্কেটের সামনে থেকে এম ডি আসলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে খুলনা সদর থানা পুলিশ। তিনি খুলনা সদর থানার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আসলাম হোসেনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে, ওয়ারেন্টভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ না করে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে অনেকেই।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কবির হোসেন বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এমডি আসলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে গ্রেপ্তারের পর তিনি গুরুতর অসুস্থতার কথা জানান। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে একজনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সচেতনমহলে। তাদের দাবি, খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশিদের সময়কালে সংঘটিত নানা দুর্নীতির সঙ্গে এমডি আসলাম হোসেনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমন একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা দুর্নীতিবাজদের আরও উৎসাহিত করবে।
ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, যদি সত্যিই অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়ে থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা আরও কমে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসানের ব্যবহৃত নম্বরে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি।