প্রকাশিত :
২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩১:১৩
৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তিতে দুই হাজার ৩০৯টি পদ থাকলেও যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে মাত্র এক হাজার ৮০৭ জনকে। ফলে বিজ্ঞাপিত পদের মধ্যে ৫০২টি ক্যাডার পদ ফাঁকাই থেকে গেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে পিএসসির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন—এতসংখ্যক ক্যাডার পদ ফাঁকা রাখা ‘নজিরবিহীন’ ও ‘অন্যায্য’।
এ বিষয়ে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানান, সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ হয়েছে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে। শুধু পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারেই ৪৪০টি পদ পূরণ করা যায়নি। সেখানে মাত্র এক বা দুইজন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া গেছে। সাধারণত এই ক্যাডারগুলোতে শূন্যপদ থাকে, তবে এবার সংখ্যাটি আরও বেড়েছে।
চলতি বছরের ১৮ জুন প্রকাশ করা হয় ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৫৮ জন প্রার্থী। গত বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই লিখিত পরীক্ষা।
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়। গত বছরের ৬ জুন প্রকাশিত হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল, যেখানে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন।
মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৮ হাজার ৮০৩ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়, যা শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি। প্রায় ১৬ মাস পর ১৮ জুন ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মাত্র ৬ হাজার ৫৫৮ জনকে পাস করানো হয়। তাদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ৮ জুলাই থেকে। কয়েক ধাপে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে অবশেষে ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি।
এ বিসিএস শেষ করতে পিএসসির সময় লেগেছে তিন বছর। দীর্ঘ সময় নিয়ে একটি বিসিএস শেষ করলেও তাতে ৫০২টি ক্যাডার পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে, যা নিয়ে হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা।