প্রকাশিত :
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:২৯:৪৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন, বান্ধবী মারিয়া আক্তার ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন, বান্ধবী মারিয়া আক্তার ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।
পরে ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন ও ওয়াহিদ আহমেদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলা। পাশাপাশি মারিয়া আক্তারের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামালউদ্দিন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদনে বলা হয়, আসামিরা মামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছেন মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের বক্তব্য বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারের সময় গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতেই মৃত্যু হয় তার।
ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে এখন পর্যন্ত ফয়সালের খোঁজ পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।