আপডেট :
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৪:৩৯
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরিফ বিন ওসমান হাদি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। একই পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
পোস্টে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. আহাদ ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন দাঁড়িয়ে আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনারা দোয়া করুন আল্লাহ যেন তাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসিব করেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ওসমান হাদি যদি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদের কাতারে শামিল হয়, সেক্ষেত্রে পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতাকে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণে শাহবাগে জড়ো হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷’
ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, ‘খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগে অবস্থান করবো এবং পুরো বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া হবে। খুনি যদি ভারতে পালিয়ে যায় সেক্ষেত্রে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো মূল্যে তাকে গ্রেপ্তারপূর্বক ফেরত আনতে হবে৷’
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।
গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচারে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল।