প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৫১:৪৩
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে দেশে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেয়।
এদিন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগ শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি অভিযোগ তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মামলার শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ বারবারই অভিযোগ করে আসছিল যে, শেখ হাসিনা ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী সব ধরনের অপরাধের মাস্টারমাইন্ড অর্থাৎ পরিকল্পনাকারী, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার বা সর্বোচ্চ নির্দেশদাতা। এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া বাকি দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন এই মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি। তিনি এই মামলায় অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসাদুজ্জামান কামালও শেখ হাসিনার মতো পলাতক। রায় ঘোষণার পর জুলাইর ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা আদালতেই স্লোগান দিয়ে উঠেন। পরে অ্যাটনি জেনারেল সবাই শান্ত হতে বলেন।