প্রকাশিত :
০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৯:০৮
দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হবে বিএনপি। সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিমেকারস কনসাল্টিং লিমিটেডের করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের শিরোনাম ছিল, ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’।
এতে বলা হয়েছে, বিএনপির পরই জনগণের পছন্দের তালিকায় জামায়াতে ইসলামীর স্থান দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
জরিপে অর্ধেকের বেশি নাগরিকের মত, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পাশাপাশি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী জিতলেও দেশ ভালোভাবে পরিচালিত হবে।
‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে কোন দল সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পাবে’—এমন প্রশ্নে প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, বিএনপিই সবচেয়ে বেশি আসন জয়লাভ করবে। নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন বয়সশ্রেণির অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও মতামতে তেমন পার্থক্য নেই। অন্যদিকে প্রায় ২৬ শতাংশের ধারণা, বেশি আসন পাবে জামায়াতে ইসলামী।
একই প্রশ্নে ৭ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) বেছে নিয়েছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কথা বলেছেন শূন্য দশমিক ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। আর মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা জাতীয় পার্টির (জাপা) কথা বলেছেন।
নির্বাচনে কোন দল জয়ী হলে দেশের জন্য সবচেয়ে উপকার হবে—এমন প্রশ্নে প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সর্বোত্তম বলে মনে করেছেন। সাড়ে ৩২ শতাংশ মানুষ মনে করেছেন, জামায়াতে ইসলামী জয়ী হলে দেশের জন্য ভালো হবে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে দেশের ভালো হবে মনে করেন সাড়ে ৮ শতাংশ মানুষ। এনসিপি জয়ী হলে দেশ ভালো হবে বলে মনে করেছেন শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। পাশাপাশি জাপা এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর উদ্যোগে এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। এতে দেশের ৫টি নগর এবং ৫টি গ্রাম বা আধা-শহর এলাকার ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মোট ১ হাজার ৩৪২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৭৪ জন এবং নারী ৬৬৮ জন ছিলেন। তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর।
জরিপকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এটি নির্দিষ্টভাবে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে না। এখানে এমন মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা অনলাইন অথবা ছাপা পত্রিকা পড়তে পারেন। একই সঙ্গে তাদের আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরিপের ফলাফলের মাত্রা ৯৯ শতাংশ নির্ভরযোগ্য বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।