আপডেট :
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:২৫:০৩
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই বিপ্লবী শহিদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)।হাদির জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
এর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গোটা বাংলাদেশ শহিদ শরিফ ওসমান হাদির শেখানো মন্ত্রে উজ্জীবিত হবে। হাদিকে বিদায় দিতে আসিনি, হাদির শেখানো মন্ত্র যেন বাংলাদেশের মানুষ বুকে ধারণ করে সে জন্য এসেছি।
তিনি বলেন, বলো বীর চির উন্নত মম শির- হাদির শেখানো এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হবে বাংলাদেশ।
এর আগে, সকালে ওসমান হাদির লাশের ময়নাতদন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। পরে তার লাশ আবারও হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে গোসল শেষে সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে মিছিলসহ লাশ নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।
এদিন সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেন মানুষ। দুপুর একটার দিকে দেখা যায়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ফার্মগেট, বিজয়স্মরণী, আসাদগেটসহ আসপাশের এলাকায় মানুষে ভরে গেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শহিদ ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।