প্রকাশিত :
০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৪৭:১৪
সম্প্রতি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, হাসিনা তার বাবাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল যে, তার বাবাকে একটা মনস্টার বানিয়ে রেখেছিল। ফলে মানুষের সব রাগ গিয়ে পড়েছে তার বাবার ওপর। ধানমণ্ডি ৩২ অনেকের কাছে শেখ মুজিবের ওইটা একটা বাড়ি। আমি এক্সেপ্ট করি যে অনেকের মেমোরির সঙ্গে এটা জড়িত। কিন্তু ওইটার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক দেখি না।
শফিকুল আলম বলেন, আমরা প্যারেড করলেই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপন্থী হয়ে গেলাম? আমরা এমন কোন কাজটা করেছি, যেটা মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটের বিপক্ষে বা বিরুদ্ধে গেছে? মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী নাকি? মানুষকে তার ডেমোক্রেসি ফিরিয়ে দেওয়া কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী? মানুষকে তার সব ধরনের অধিকার, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া— এটা কি চেতনাবিরোধী? দেশে ৫৪ বছর ধরে কোর্টগুলোকে ল মিনিস্ট্রি কবজায় রেখেছে। সেটাকে আমরা সরিয়ে ইনডিপেনডেন্স দিচ্ছি। এটা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী নাকি?
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কী বলে? মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বলে যে একটা শোষণমুক্ত ও সবার জন্য একটা বাংলাদেশ তৈরি করা। যেখানে কোনো ডিসক্রিমিনেশন থাকবে না। এমন একটা কাজ, সেখানে আমি প্রাউডলি বলতে পারি— আমি এই দেশের নাগরিক। আমি হয়তো গরিব আছি; কিন্তু আমার প্রাউডের জায়গাটা আছে। সেটাকে মুক্তিযুদ্ধ বলে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, ওনারা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে আসছিলেন, ওনার বাপ-মা, খালা-খালু দিয়ে। ৮৮৮টা ইস্টাবলিশমেন্ট বিল্ডিং, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ— এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে নাম দেওয়া হয়নি শেখ ফ্যামিলির নামে। আমরা কি একটা কিংডমের বাসিন্দা? ওনাদের রাজত্বে আমাদের তখন মাথা নত। আমরা প্রজা হিসেবে ছিলাম। তখন এই কথাটা আসেনি। তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কই ছিল?