১৪ বছর পর ভারতের কলকাতায় এসেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তবে যুবভারতীতে তার উপস্থিতি ঘিরে শনিবারে (১৩ ডিসেম্বর) তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। নির্ধারিত সময়ের আগেই কলকাতা ছাড়েন মেসি। এমন অব্যবস্থাপনার কথা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও।
আমেরিকার ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ থেকে শুরু করে ব্রিটেনের ‘গার্ডিয়ান’, ‘বিবিসি’ কিংবা ফ্রান্সের গণমাধ্যম, সবার সংবাদেই গুরুত্ব পেয়েছে কলকাতার বিশৃঙ্খলা। বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে বিষয়টিকে কীভাবে দেখা হয়েছে সেটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম আনন্দবাজার।
বিবিসির শিরোনাম, ‘লিওনেল মেসির ভারত সফর শুরু হলো বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে।’ প্রতিবেদনে তারা লিখেছে, ‘কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদেরা মেসিকে এতটাই ঘিরে রেখেছিলেন যে, কিছুক্ষণ পরেই তিনি বিরক্ত হয়ে যান। মাত্র ২২ মিনিট মাঠে থাকার পর নিরাপত্তার কারণে মেসিকে বাইরে নিয়ে যাওয় হয়। এতেই যুবভারতীর জনতা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। চেয়ার ও বোতল ছোড়া শুরু হয়।’
মার্কিন গণমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ শিরোনাম করেছে, ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এবং বিশৃঙ্খলার পর লিওনেল মেসির ভারত সফরের আয়োজক আটক।’ দীর্ঘ প্রতিবেদনে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ যুবভারতীর ঘটনার বিবরণ দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘মেসিকে স্পষ্টভাবে দেখাই যায়নি। যেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় তার যুবভারতীতে থাকার কথা ছিল, সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে দ্রুত মাঠ থেকে বার করে দেন।’
স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক ‘মার্কা’র শিরোনাম, ‘চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা’। তারা লিখেছে, ‘ইন্টার মায়ামির ফুটবলার মাঠে ঢুকেই মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে যান। অথচ সমর্থকেরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসেছিলেন শুধুমাত্র তাকে দেখবেন বলে।’
যুবভারতীর ঘটনায় ফ্রান্সের দৈনিক ‘লে কুইপ’-এর শিরোনাম ‘ডিস্টার্বিং’। তারা লিখেছে, ‘প্রচারমূলক সফরে এসেছিলেন মেসি। তাকে ঘিরে থাকা মানুষের ভিড়ের জন্য দর্শকদের হতাশা চরমে পৌঁছয়। মাঠের অভিজ্ঞতা সমর্থকদের জন্য মর্মান্তিক।’