প্রকাশিত :
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৫৬:১৭
ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের কাছে প্রায় ১১ বিলিয়ন বা ১১০০ কোটি ডলার সমমূল্যের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত রকেট লঞ্চারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।
এই প্যাকেজটিকে এখন মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে হবে। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি হবে তাইওয়ানের কাছে দ্বিতীয় ধাপের অস্ত্র বিক্রি। অন্যদিকে স্বশাসিত তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখা চীন সামরিক মহড়া ও নিয়মিত জলসীমা ও আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে দ্বীপটির ওপর চাপ বাড়িয়ে আসছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, এই চুক্তি দ্বীপটিকে 'দ্রুত শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে' সহায়তা করবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বেইজিংয়ের সঙ্গে, তাইওয়ানের সঙ্গে নয় এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও তাইওয়ানের শক্তিশালী মিত্র এবং দ্বীপটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী।
চীন এই ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে গত মাসে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছিল, নভেম্বরের আগের একটি চুক্তি, যেখানে ৩৩ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য বিমান যন্ত্রাংশ বিক্রি করার কথা ছিল, সেটি 'গুরুতরভাবে চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে'।
এবারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি যদি অনুমোদন পায়, তবে জো বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হওয়া ১৯ দফা অস্ত্র বিক্রি, যার মূল মূল্য ৮.৩৮ বিলিয়ন ডলার, তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প তাইওয়ানের কাছে মোট ১৮.৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিলেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ ছিল ৮ বিলিয়ন ডলারের।
সূত্র : বিবিসি