প্রকাশিত :
০৯ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৩:০৫
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রশ্ন তুলেছেন একজন সাংবাদিক। তবে এসব প্রশ্নের কোনওটিরই সরাসরি উত্তর দেননি দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে ঘটনাটি ঘটে।
বৈশ্বিক ইস্যুতে শুরু, নজর ঘুরে দক্ষিণ এশিয়ায়
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রথমে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন চলছিল। এক পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে চার রাষ্ট্রের জোট কোয়াড। সাংবাদিক তুলে ধরেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ থেকে আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার ভারতের রয়েছে এবং কোয়াড অংশীদাররাও এই অধিকারকে সম্মান করবে বলে তারা আশাবাদী।”
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অস্ত্রচক্র ও সহিংসতার অভিযোগ
এর সূত্র ধরে সাংবাদিক বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিমানবন্দরে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগ থেকে একটি বন্দুকের ম্যাগজিন উদ্ধার হয়। অভিযোগ উঠেছে, সেই ম্যাগজিনটি ২০২৪ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহৃত অবৈধ গোলাবারুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস
সাংবাদিক এরপর আরও অভিযোগ তোলেন যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চলছে এবং সম্প্রতি সরকারি বুলডোজার দিয়ে শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, একজন হিন্দু নাপিতকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এসব প্রেক্ষাপটে তিনি জানতে চান, এসব ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী।
সাবধানী প্রতিক্রিয়া ও উত্তর এড়ানোর কৌশল
এই পর্যায়ে সাংবাদিককে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তবে তিনি প্রশ্ন শেষ করার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং পরে বলেন:
ভারত ও বাংলাদেশের বিষয়টি একটি জটিল ও বিস্তারিত কূটনৈতিক প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্র সেটি বোঝে।
তিনি আর কোনো মন্তব্য না করে কোয়াড বৈঠক সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও'র একক বিবৃতি এবং অংশীদারদের যৌথ বিবৃতি দেখার পরামর্শ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
ব্রুস এসময় স্পষ্ট করেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবলমাত্র নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারে এবং অন্য কোনও দেশের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন করবে না। অর্থাৎ, ভারতের বক্তব্য বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনাবলী সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া আপাতত নেই।