নারীর শক্তি, প্রেম আর প্রতিশোধ এই তিন ধাপে গড়ে উঠছে ‘অগ্নিকন্যা’র জ্বলন্ত চরিত্র।
প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২৫, ২:০৭:২২
নারী যখন শুধুই প্রেম বা মমতার প্রতীক নন, বরং হয়ে ওঠেন প্রতিরোধ আর আগুনের রূপ, তখনই জন্ম নেয় ‘অগ্নিকন্যা’। লেখক সিফাত নুসরাত তাঁর লেখনীতে এবার তুলে এনেছেন এমনই এক নারীর গল্প, যিনি নিপীড়নের শিকার হয়েও নিজের আগুনে জ্বালিয়ে দেন অন্যায়ের প্রাচীন দুর্গ। উপন্যাসটি আসছে আগামী বইমেলায়, তবে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এর প্রচ্ছদ, ছোট্ট এক ঝলক এবং কিছু সংলাপ। পাঠক, সাহিত্যিক এবং বইপ্রেমী মহলে আলোচনা চলছে এই উপন্যাস কেবল গল্প নয়, এটি হতে যাচ্ছে নারীর আত্মজাগরণের এক সাহিত্যিক দলিল।
“অগ্নিকন্যা কোনো চরিত্র নয়, বরং প্রতিটি নিপীড়িত নারীর ভেতরের আগুনের প্রতীক” সিফাত নুসরাত, লেখক।
‘অগ্নিকন্যা’র কেন্দ্রে রয়েছে নিশাত এক তরুণী, যার জীবনের উপর বারবার নেমে আসে সামাজিক অন্যায়, পারিবারিক নিষ্ঠুরতা এবং প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতা। কিন্তু সে ভেঙে পড়ে না, বরং নিজের যন্ত্রণাকেই রূপান্তর করে প্রতিশোধের আগুনে। লেখক জানাচ্ছেন, উপন্যাসটি কেবল এক নারীর জীবন নয়, বরং এ সমাজের হাজারো নিশাতের প্রতিচ্ছবি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সাহিত্যে নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার এক নতুন প্রস্থানবিন্দু। কথাসাহিত্যিক নুরজাহান তাসনিম বলেন, “সিফাত নুসরাত তার লেখায় সাহস দেখিয়েছেন যা আজকের সময়ের জন্য জরুরি।” উপন্যাসের ভাষা সহজ, কিন্তু সংলাপে রয়েছে জ্বালাময়ী শক্তি। পাঠকরা বলছেন, এটি ‘বর্ণনা নয়, অনুভবের আগুন’। সমাজের প্রতিটি প্রাচীরের বিরুদ্ধে যখন একজন নারী দাঁড়িয়ে যান নিজ শক্তিতে, তখন সেই কাহিনি কেবল উপন্যাস থাকে না হয়ে ওঠে সময়ের সাক্ষী। ‘অগ্নিকন্যা’ ঠিক তেমন এক সাহসের গল্প-যে গল্প পুড়িয়ে দেয় নিপীড়নের ছায়া, আর জ্বালিয়ে তোলে পাঠকের মনেও আগুন।