প্রকাশিত :
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪০:৫৫
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, পলাতক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৩ জন ডিআইজি, ১০ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১১ জন পুলিশ সুপার, ৯ জন অতিরিক্ত এসপি, ৫ জন এএসপি, ২৭ জন পরিদর্শক, ৮ জন এসআই, ৩ জন এএসআই ও ৫ জন কনস্টেবল রয়েছেন। আলোচিত পলাতকদের মধ্যে রয়েছেন ডিএমপি, চট্টগ্রাম ও ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার ও ওসি।
৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ডিআইজি থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার ৪০ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করা হয়। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘পলায়ন’-এর শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধিতে ১,৪৯০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাবেক আইজিপি, ডিএমপি ও জিএমপির সাবেক কমিশনার এবং রাজধানীর বিভিন্ন থানার সাবেক ওসি রয়েছেন।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কারাগারে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনো বিভাগীয় মামলা করা যায়নি।
গত এক বছরে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৬ জনকে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে, ৮২ জনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে এবং ৫৫ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক মন্তব্য করেছেন, সারা দেশে পুলিশের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে, তার অনেকগুলো ঢালাও। যাঁরা কমান্ড ও পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন এবং গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা গ্রহণযোগ্য হতো। ঢালাও মামলার কারণে বাহিনীর মধ্যে অনেকে ভীতসন্ত্রস্ত।