প্রকাশিত :
১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪১:৫৩
দেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা রিপন মিয়া এখন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে। কয়েকদিন ধরেই সামাজিকমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চলছে নানামুখী বিতর্ক। বিশেষ করে মা-বাবার প্রতি অবহেলা এবং নিজের পারিবারিক পরিচয় গোপনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অনেকে আবার তার পক্ষ নিয়ে বলছেন, সাংবাদিকরা তিলকে তাল বানিয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সবার সামনে তুলে ধরেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত একটি টেলিভিশন প্রতিবেদনের মাধ্যমে, যেখানে রিপনের মা অভিযোগ করেন, ছেলে এখন আর তাদের খোঁজ নেয় না। গরিব বলে হয়তো সে এখন মা-বাবাকে চেনাতে চায় না।
এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই নেট দুনিয়ায় ঝড় ওঠে। রিপনের প্রতি সহানুভূতির বদলে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই মন্তব্য করেন, খ্যাতি পেলে মানুষ এতটাই বদলে যায় যে, নিজের জন্মদাতাকেও অস্বীকার করে বসে।
তবে এসব সমালোচনার মধ্যেই রিপনের আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিকমাধ্যমে, সেখানে দেখা যায়, রিপন তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলছেন, ‘মা তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!’
অন্যদিকে, রিপন মিয়া নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করলেও আরেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাহিদ রনি বলছেন, রিপন বিবাহিত। সংসার আছে, সন্তান আছে। কিন্তু নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে সে নিজের বাস্তবতা আড়াল করতে চাইছে।
রনি অভিযোগ করেন, রিপনের আড়ালে নেপথ্য চালক হিসেবে কাজ করছে সজীব নামের একজন ম্যানেজার, যিনি রিপনের সমস্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি লেখেন, রিপনের মাসিক আয় গড়ে ৩ লাখ টাকা। কখনো ১০ লাখেরও বেশি হয়। কিন্তু সেই আয়ের বেশিরভাগ অংশই যায় সজীবের হাতে, রিপন পান মাত্র ১০ শতাংশ।
এ ছাড়া রনি জানান, রিপন সম্প্রতি জমি কিনে নতুন একটি বাড়ি তৈরি করেছেন, সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
সামাজিকমাধ্যমে এখন প্রশ্ন একটাই—খ্যাতি ও অর্থের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে কি রিপন মিয়া হারাচ্ছেন তার মানবিক দিকটি?
অনেকে লিখেছেন, ‘যে সন্তান বাবা-মাকে অস্বীকার করে, তার সাফল্য যত বড়ই হোক না কেন, সেটা অসম্পূর্ণ।’
রিপন মিয়া এখনো এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে নেটিজেনদের কটাক্ষ আর বিতর্কের আগুন যেন দিন দিন আরও দাউ দাউ করে জ্বলছে।