প্রকাশিত :
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫৯:২৭
রমজান ঘনিয়ে আসলেও খেজুরের শুল্কহার নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ফলে বাজারে আগাম অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি শুল্ক কমানো হলে রমজানে খেজুর সাধারণ মানুষের নাগালে থাকবে, আর তাই খেজুরকে বিলাসপণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তাদের।
দেশে বছরে খেজুরের চাহিদা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টন। এর প্রায় ৮০ হাজার টনের প্রয়োজন হয় শুধু রমজানেই। পুরো চাহিদাই পূরণ হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানির মাধ্যমে।
ভোক্তা স্বস্তির জন্য খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর সুপারিশ সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এনবিআর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। সিদ্ধান্তহীনতায় বাজারদর নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুল্ক কমতে পারে—এমন প্রত্যাশায় অনেক আমদানিকারক সময়মতো চালান খালাস করছেন না। কেউ কেউ আবার বন্দরেই মাল রেখে দিচ্ছেন। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, বিলাসপণ্য তো ধনীদের জন্য। কিন্তু খেজুর কি শুধু বিলাসপণ্য হবে? সাধারণ মানুষ কি খেজুর খেতে পারবে না? খাদ্যপণ্যে এত বেশি শুল্ক যুক্তিসঙ্গত নয়।
ভোক্তারা বলছেন, সরকার শুল্ক কমালে বাজারে তার প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর তদারকি চাই।
এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘ট্যাক্স বাড়ায় দামও বেড়ে গেছে। এক কার্টুনে এখনই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি। সামনে রমজান, সাধারণ মানুষ কীভাবে খেজুর কিনবে? দাম কম হলে সবাই খেতে পারত।’
বর্তমানে খেজুর আমদানিতে মোট শুল্ক-কর দাঁড়িয়েছে ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছর রোজার তিন মাস আগেই এই শুল্ক কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল করা হয়েছিল।