প্রকাশিত :
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১৬:০৭
মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কাজে চুক্তিগত অনিয়ম, দরপত্রে কারসাজি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১২ অক্টোবর দুদক বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৬ সালে সিএনএসকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে আগের দরপত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল’ করা হয়। এরপর ‘একক উৎসভিত্তিক’ দরপত্র আহ্বান করে কেবল সিএনএসের সঙ্গে আলোচনা করে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। টাকার অঙ্ক নির্ধারণের পরিবর্তে মোট টোল আদায়ের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে (ভ্যাট ও আয়কর বাদে) সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১০-১৫ মেয়াদে একই সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিল এমবিইএল এটিটি। তারা টোল আদায়ের জন্য মাত্র ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছিল। এরপর সিএনএসের পর ২০২২-২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে দাঁড়ায় ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
এ তুলনায় সিএনএস একই মেয়াদের জন্য প্রায় পাঁচগুণ বেশি বিল তোলে ও তথাকথিত ‘নতুন প্রযুক্তি স্থাপন ও অবকাঠামো ব্যয়’ বাবদ আরও ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি করে। এতে সরকারের মোট ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল, উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফতাব হোসেন খান, আবদুস সালাম, সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।