প্রকাশিত :
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:২৪:৩৩
বিজয়ের মাস উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় মাসব্যাপী চলছে যাত্রাপালা প্রদর্শনী। শিল্পকলা একাডেমিতে গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার যাত্রাদল ‘বেলাবো নাট্য’ মঞ্চায়ন করে যাত্রাপালা ‘জেল থেকে বলছি’। পালাটির পালাকার নির্মল মুখোপাধ্যায় এবং নির্দেশনায় ছিলেন মো. কাজল মিয়া।
যাত্রাপালাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আবুল হাসেম বিশ্বাস, টাইগার রুবেল, রনি, জীবন সরকার, কাজল, কুতুব, জহির, সাগর, সিমান্তনী, মুক্তিরাণী, লাকী আক্তার, লাভলী, সুমি, সুজনা, বাবলু, আনোয়ার, ইউসুফ, রিফাত, আবু তাহের, রেজা, শহিদ ও আশিকুর রহমান প্রমুখ।
নেপথ্য শিল্পী ও কলা-কুশলী হিসেবে ছিলেন সালাউদ্দিন (সেলিম), মোজাম্মেল হক (মিলন), রোমান ফাল্গুনী, সাইজ উদ্দিন, শ্যামল, শুভাস, শাহীন, বিপ্লব, আ. রশিদ, সোলেমান, আবু তৈয়ব প্রমুখ।
‘জেল থেকে বলছি’ যাত্রাপালাটি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের উত্থান-পতনের করুণ কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত। ছোট ভাই ও ছোট বৌয়ের সুখের জন্য বড় ভাই ও বড় বৌয়ের আত্মত্যাগ, পাশাপাশি অবৈধ সন্তানকে নিয়ে এক কুমারী মায়ের কষ্টসহিষ্ণু জীবনের গল্পই এই যাত্রাপালার মূল উপজীব্য।
মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীতে নিবন্ধিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৬টি যাত্রাদল ৩৬টি যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি যাত্রাদলের একটি যাত্রাপালাসহ মোট ৩৭টি যাত্রাপালা প্রদর্শিত হবে। যাত্রাপালা প্রদর্শনীর টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট যাত্রাদলকে প্রদান করা হবে।
এছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দেশাত্মবোধক যাত্রাগানের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিদিনের প্রদর্শিত যাত্রাপালাগুলো জুরি বোর্ডের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
আগামীকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একই মঞ্চে বালিয়াডাঙ্গী রাজবাড়ীর ‘দি রাজবাড়ী যাত্রা ইউনিট’ মঞ্চস্থ করবে যাত্রাপালা ‘প্রতিমা বিসর্জন’। পালাটির রচয়িতা মহাদেব হালদার এবং নির্দেশনায় রয়েছেন নরেশ ঘোষ।