প্রকাশিত :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:০০:২১
কথা ছিল দেশের জনপ্রতিনিধি হয়ে রুখবেন অন্যায়-অনাচার। কিন্তু সব থেমে গেল একটি বুলেটে। গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে।
দেশি-বিদেশি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে টানা সাতদিনের লড়াই শেষে নিথর দেহে বাংলাদেশে ফিরছেন তিনি। তার লাল-সবুজের কফিন যেন এক অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি। তবে রেখে গেলেন সাহস, প্রতিবাদ আর বিদ্রোহের মতো কিছু শব্দ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লাশবন্দি কফিন নিয়ে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করা হয়। এতে লেখা হয়, ‘হারাম খাইয়া আমি এত মোটাতাজা হই নাই, যাতে আমার স্পেশাল কফিন লাগবে! খুবই সাধারণ একটা কফিনে হালাল রক্তের হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো।’ যদিও গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগেই এমন মন্তব্য করেছিলেন জুলাইয়ের অন্যতম নায়ক ওসমান হাদি।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছাবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায়। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাদির লাশবাহী ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর থেকে ছাড়বে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে অবতরণের কথা রয়েছে। শনিবার জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন ওসমান হাদি। গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন তিনি। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) নেওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।