আপডেট :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৪১:১৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের পর দেশের ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ন্যায্য ও বোধগম্য। কিন্তু এই ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক বিবৃতিতে একথা বলেন তিনি। এসময় কোনো উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সাঙ্গে জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচন রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই আন্দোলনের সামনের সারির যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদী বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছেন। এই শহীদী মৃত্যুতে সারা দেশে শোক, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণ মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছেন ও একইসঙ্গে তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
আমরা স্পষ্টভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ও জনগণের কণ্ঠস্বর প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতান্ত্রিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ওপর আঘাত। যেকোনো ন্যায়সংগত আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। নইলে মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হতে পারে।
তিনি বলেন, শহীদ ওসমান হাদীর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের এই সংকটময় সময়ে সংযম, দায়িত্বশীলতা ও জাতীয় ঐক্যই হতে পারে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব। আমরা সব দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিককে ধৈর্য, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
