আপডেট :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৩৪:৪৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করে বিপ্লবী সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি দাবি করেন, জানাজার নামে লোকসমাগম ঘটিয়ে ওই চক্র ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করতে পারে। এর অংশ হিসেবে বিদেশি দূতাবাস ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলার চেষ্টা হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেছেন, একই চক্র আগামী ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর গুম কমিশনের মাধ্যমে আরও কিছু সামরিক কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করে সার্বিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলার চেষ্টা করতে পারে।
এ সাংবাদিক বলেন, গুম ও খুনের মতো নিন্দনীয় অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের যথাযথ বিচারের কোনো বিকল্প নেই। তবে দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সেই বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করা উচিত।

স্ট্যাটাসে গুম কমিশন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জুলকারনাইন। তিনি উল্লেখ করেন, গুম কমিশনের বিভিন্ন ইন্টারভিউতে কমিশনের সদস্য নন—এমন এক ব্যক্তি খন্দকার রাকিব বিভিন্ন ব্যক্তির জেরার সময় উপস্থিত থেকে ভিডিও করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি কার অনুমতিতে, কোন ক্ষমতায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং কী উদ্দেশ্যে ভিডিও ধারণ করেছেন—তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮মিনিটে ওসমান হাদির মরদেহবাহী ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে হাদির মরদেহ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন ওসমান হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।