আপডেট :
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৫:২৯
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে সরকারের ভেতরের একটা অংশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় নাহিদ ইসলাম এ মন্তব্য করেন। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্সের’ প্রতিবাদে সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্লোগানগুলো ব্যবহার করে তারা সেখানে আক্রমণ করেছে এবং সেটার পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছে। এই ঘটনার পরে আমরা বলেছি, সরকারের ভেতরের একটা অংশের এখানে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে এনসিপি গঠন করেছেন তিনি। সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সমাজে এটার পক্ষে সম্মতি তৈরি করা হয়েছিল অনেক দিন ধরেই এবং এটার সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যাকআপও আছে। এই তিনটা ঘটনা এক সাথে না ঘটলে এত বড় সাহস সেই রাতে কারও পক্ষে করা সম্ভব হতো না।’
নাহিদ ইসলামের মতে, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার পুরো ঘটনাটাই পরিকল্পিত ছিল। তিনি বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি তার একটা অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে এবং হওয়ার পরে কী কী ঘটনা ঘটানো হবে বাংলাদেশে, এটার একটা চক্রান্ত পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি হয়েছে।...আমরা মনে করি আমাদের সবারই এটার পেছনে দায় আছে। আমাদের অনেক বেশি দায় আছে, যারা আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলাম।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এই ঘটনা যারা সেই রাতে ঘটিয়েছে, এটা খুবই স্পষ্ট যে, কারা সেটার পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছে। কারা সেই রাতে সেখানে গিয়েছে। লেখালেখি করেছে। আমার মনে হয়, সেটা সরকারের উচিত হবে...আমাদের সবাই মিলে সরকারকে বাধ্য করতে হবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার।’
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘সেই রাতে এই ঘটনা ঘটার পরে আমাদের কাছে আরও মনে হয়েছে, ঢাকা শহরে ৫০০ মানুষ নাই যে সেখানে ওই বিল্ডিং দুইটার সামনে গিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করতে পারে-এটা আমাদের জন্য আরও দুর্ভাগ্যজনক মনে হয়েছে।’