প্রকাশিত :
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭:৪৯
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতিকে ‘অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়েছে এনসিপি।
এনসিপির মনে করে, জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উস্কে দিচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গ্রহণ করার পরিবর্তে তারা পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে, যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি এসব কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আখতার হোসেনের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, ‘গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের (এনপিএ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণ-নির্ভর যে মন্তব্য করেন, তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল।’
পাবনার একটি ঘটনার উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী থানায় নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র গুলি চালানো তুষার মণ্ডল যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী, তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করে সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গ্রহণ করার পরিবর্তে জামায়াত পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে, যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত।’
সহিংসতা, অস্ত্রনির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থি। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য। জামায়াতকে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের এখনও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের মতো দলগুলো অস্ত্রের মহড়ায় কে কার থেকে এগিয়ে যাবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।’
আখতার হোসেনের এই বক্তব্যকে অসত্য, মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) জামায়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আখতার হোসেনের মতো একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার মুখে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক, অযৌক্তিক ও সস্তা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। আমরা আশা করি, তিনি তার ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। অসত্য বক্তব্য দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’