বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৮ বছর লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার পর আজ (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরছেন, যার মাধ্যমে তাকে ঘিরে তার দলের ভেতরে ও বাইরে তৈরি হওয়া উদ্বেগের অবসান হচ্ছে।
বিএনপির দিক থেকে দীর্ঘকাল ধরেই তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারকে বাধা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরছেন ওই সরকারের পতনের ১৫ মাস পর।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমান তার দেশে ফেরার বিষয়ে নিজেই যে উদ্বেগ তৈরি করেছিলেন, তার অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরাটা তার দলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের কাছে অনেকটা ‘ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো’, যা দলের জন্য স্বস্তি বয়ে নিয়ে এসেছে বলে মনে করেন তারা।
আর এর মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তৈরি করা দলটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংগঠিত ও জনপ্রিয় হওয়ার পর আবার একটি সমস্যা-সঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে তাদের বড় সন্তান তারেক রহমানের সরাসরি নেতৃত্বে পরিচালিত হওয়ার সময়ে পদার্পণ করলো।
দেশে ফেরার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’ বলে সম্প্রতি তারেক রহমান যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, সেটিই তার দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপির ভেতরে উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছিলো।
যদিও তারেক রহমানের ফেরার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ নেই কেন কিংবা সেটি কাদের নিয়ন্ত্রণে- সেই বিষয়ে তিনি কিংবা তার দল পরিষ্কার কিছু বলেনি।
তবে বিএনপির দিক থেকে আগেই বলা হয়েছিলো যে, তারেক রহমানই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলকে নেতৃত্ব দিবেন। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে আশির দশকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন বলে তার দলের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন কি-না সেই সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় আরও অনেক সামরিক কর্মকর্তা পরিবারের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের পরিবারকেও বন্দি করা হয়েছিলো। তখন তাদের দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমানও বন্দি ছিলেন।
দলের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্য অনুযায়ী, সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তারেক রহমানও তার মায়ের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং ওই সময় ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলা বিএনপির গাবতলী উপজেলা ইউনিটের সদস্য হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিক বিএনপিতে সক্রিয় হন।
যদিও দলের কয়েকজন নেতা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দলীয় রাজনীতির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এবং সেই সময় খালেদা জিয়া যে পাঁচটি আসনে নির্বাচন করেছিলেন তিনি সেগুলোর দেখভাল করেছিলেন।
তবে দলের রাজনীতিতে তার শক্ত প্রভাব শুরু হয়ে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে হাওয়া ভবন নেওয়া হয়েছিলো নির্বাচনী অফিস হিসেবে ব্যবহার করে প্রচার প্রচারণা চালানো ও নির্বাচনী কৌশল নিয়ে কাজ করার জন্য, যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার হলো। কিন্তু হাওয়া ভবন থেকে গেলো এবং এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলো। এরপর ওয়ান ইলেভেনের পর গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও কারাভোগ শেষে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হলো।’
তবে মূলত, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের সময়ই দলের ভেতরে সক্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন তারেক রহমান। পরে ২০০২ সালের ২২ জুন দলের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদ তৈরি করে তাকে ওই পদে অধিষ্ঠিত করা হয়।
মহিউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘এটাই ছিলো দলের রাজনীতিতে তার বড় উল্লম্ফন। জিয়া পরিবারের সদস্য হিসেবেই এটা তিনি পেয়েছেন। তাকে ঘিরে পরে দলের মধ্যে একটি প্যারালাল নেতৃত্ব বলয় তৈরি হয়েছিলো।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ওই সময়ে সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন এবং দলের তৃণমূলে যোগাযোগ তৈরি করতে পেরেছিলেন।’
এরপর ২০০৯ সালে দলের সম্মেলনে তাকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পরপরই তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে বিএনপি। অন্য কোনো সংকট না হলে এটি পরিষ্কার যে, খালেদা জিয়ার পর তিনিই হবে দলের পূর্ণাঙ্গ চেয়ারম্যান।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ২০০১-০৬ সময়ে চরমভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়েছিলো বিএনপি চেয়ারপারসনের বনানী অফিস, যেটি হাওয়া ভবন নামে পরিচিত ছিলো।
সমালোচনা রয়েছে, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলেও তারেক রহমানই হয়ে উঠেছিলেন সমান্তরাল আরেকটি ক্ষমতার কেন্দ্র - হাওয়া ভবন-কেন্দ্রীক।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিলো তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও। যদিও তিনি ও তার দল বিএনপি সবসময় এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এগুলোকে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করে আসছেন।
অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘২০০১ সালের হাওয়া ভবন করা হয়েছিলো নির্বাচনী অফিস হিসেবে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার কাজ হয়েছে সেখান থেকে। কিন্তু সরকার হওয়ার পর হাওয়া ভবন থেকে গেলো এবং এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হলো।’
আবার বিএনপির ওই মেয়াদে ২০০৪ সালে ঢাকায় তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্যও তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনকেই দায়ী করেছিলো আওয়ামী লীগ।
পরে আওয়ামী লীগ আমলে এ সংক্রান্ত মামলার আসামিও করা হয়েছিলো তারেক রহমানকে, যাতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে তুমুল রাজনৈতিক সংঘাত সহিংসতার জের ধরে বাংলাদেশে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নিয়েছিলো সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
ওই সময় দুর্নীতির অভিযোগে আটক হয়ে ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিলেন তারেক রহমান।
গ্রেপ্তারের পর র্যাবের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে ঢাকার একটি আদালতে তোলা হয়েছিল তাকে।। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। যদিও তার মাত্র মাস ছয়েক আগেও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হিসেবে তারেক রহমানের ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপ।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের উপর নির্যাতনে অভিযোগ তখন বেশ জোরালোভাবে দলের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল। তার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পর সেসময় তাকে চরম নির্যাতন করা হয়েছিলো।
বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তিনি তার গবেষণার জন্য বিভিন্ন পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছিলেন যে তারেক রহমানকে সত্যিকার অর্থেই নির্যাতন করা হয়েছিলো, যার উদ্দেশ্য ছিলো তখন তার মা খালেদা জিয়াকে ‘দেশত্যাগে বাধ্য করা’।
পরে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে না গেলেও তখনকার সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতার মাধ্যমেই তারেক রহমান মুক্তি পেয়েছিলেন বলে প্রচার রয়েছে।
তারেক রহমান দেশ ছাড়ার পরপরই ‘আর রাজনীতি করবেন না’ বলে মুচলেকা দিয়েছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছিলো।
মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া নিজেই বলেছিলেন যে তারেক আর রাজনীতি করবে না, লন্ডনে পড়াশোনা করবে।’
বিএনপির প্রয়াত নেতা মওদুদ আহমদ তার ‘কারাগারে কেমন ছিলাম (২০০৭-২০০৮)’ বইতে লিখেছেন, ‘এমনও হতে পারে তিনি (খালেদা জিয়া) জেনারেলদের সঙ্গে এই সমঝোতা করেছিলেন যে, তারেক রহমান আপাতত নিজেকে রাজনীতিতে জড়াবেন না এবং এ মর্মে তারেক রহমান কোনো সম্মতিপত্রে স্বাক্ষরও দিয়ে থাকতে পারেন।’
পরে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন যে ২০১২ সালে তারেক রহমান ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন এবং এক বছরের মধ্যেই সেটি গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সালে বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক সহিংসতার জের ধরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে বিএনপির রাজনৈতিক বিপর্যয় শুরু হয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ওই সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পর গ্রেপ্তার হন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার সঙ্গে একই দিনে একই সাথে আটক হয়েছিলেন তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমানও।
পরে অবশ্য আরাফাত রহমান নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে থাইল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। পরে তিনি মালয়েশিয়ায় যান এবং সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে।
আবার খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারের ছয় মাস আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারেক রহমানও। পরে ২০০৮সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যাওয়ার পর ২০১৮ সাল পর্যন্ত চিকিৎসা ও পরিবার নিয়েই সময় কাটিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকেই দল পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। তবে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজা পাওয়া ছাড়াও অনেক মামলার আসামি হয়েছেন তিনি আওয়ামী লীগ আমলে।
এক পর্যায়ে তার বক্তব্য- বিবৃতি প্রচার আদালতের মাধ্যমেই বন্ধ করে দেওয়া হলে তিনি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হন এবং ভার্চুয়ালি দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে থাকেন।
তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, অল্প দিনের মধ্যেই একদিকে তৃনমূলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং অন্যদিকে দলের নীতিনির্ধারণী কাজে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন তিনি।
বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমান চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও দলকে সুসংহত রাখতে পেরেছেন এবং এত সব কিছুর পর দলের নেতা হিসেবে তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা অনেকটা ‘ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো’ বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির যে কানাগলি তা যেমন দেখেছেন, তেমনি এদেশের সংঘাত ও প্রতিহিংসার রাজনীতির একটি অভিজ্ঞতা তার হয়েছে। সেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে তিনি দলের নেতা থেকে সামনে দেশের নেতা হয়ে উঠতে পারেন কি-না সেটিই হবে এখন দেখার বিষয়।’
জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ৮০ দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন অনেকেই মনে করেন। সেই দলটিতে এখন সময়ের পরিক্রমায় এখন তারেক রহমানের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ অবশ্য বলেছেন, তারেক রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে কখনোই ঝড়ঝঞ্জা থেকে মুক্ত থাকতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি দেশে ফ্যাসিবাদের পতনের পরও তার দেশে ফেরা নিয়ে কুয়াশা তৈরি হয়েছিলো। তিনি নিজেই বলেছেন যে সব বাধা অপসারিত হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি তার দলের তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ পেতে সবার সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছেন।’
তারেক রহমানের সঙ্গে গত এক দশক ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের চিন্তা ও দর্শন অনেকটাই জিয়াউর রহমানের মতো। ২০০১ সালের পর তিনি তৃণমূলে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার ভিত্তিতেই তিনি রাজনীতিকে জ্ঞান ভিত্তিক ও উন্নয়ন কেন্দ্রিক করার চিন্তা করেন। দেশের প্রতিটি খাত নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল, আবার আরও জানার আগ্রহও তার আছে। ফলে আমার মনে হয় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপি সঠিক নেতৃত্বই পেয়েছে।’