গ্রহাণুর গ্যালাক্সির মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে প্রাণের চিহ্ন। এল ৯৮-৫৯এফ নামের এই গ্রহ আবিষ্কার নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের আশা আরো বেড়েছে।
প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২৫, ২:২৪:০০
সৌরজগতের বাইরের মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানে বিজ্ঞানীদের অভিযাত্রা দিন দিন বেগবান হচ্ছে। কানাডার এক প্রখ্যাত গবেষক দলের সর্বশেষ আবিষ্কার এল ৯৮-৫৯এফ নামের একটি গ্রহ। তারা বলছেন, এই গ্রহে এমন পরিবেশ থাকতে পারে যা প্রাণের জন্মের জন্য উপযোগী। গবেষক দলে থাকা কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ এলিজাবেথ মরগান বলেন, “আমরা এল ৯৮-৫৯এফ-কে শুধুমাত্র একটি গ্রহ হিসেবে দেখছি না, এটি প্রাণের সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।” এই গ্রহটি আমাদের পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বড়, এবং সূর্যের কাছাকাছি এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যেখানে তরল পানি থাকতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, তরল পানিই হলো প্রাণের অস্তিত্বের প্রধান শর্ত। এই আবিষ্কার সেই কারণে এতটা গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্বখ্যাত NASA-র ত্রাণসংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, গত ১০ বছরে বহুজাতিক টেলিস্কোপ এবং মহাকাশযানের মাধ্যমে বহু গ্রহ আবিষ্কৃত হলেও এল ৯৮-৫৯এফ প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক।
“আমাদের পৃথিবী একলা নয় মহাবিশ্বে প্রাণের খোঁজ এক অবিরাম অভিযান,” বলছেন ডঃ মরগান।
বিশ্বব্যাপী এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন আলোচনা ও গবেষণার ঝড় তুলেছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আরও বেশি করে এই গ্রহের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে মনোযোগ দিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা একত্রিত হয়ে এই গ্রহের আবহাওয়া, ভূতত্ত্ব এবং সম্ভাব্য বায়ুমণ্ডলের উপর গবেষণা শুরু করেছেন। কানাডার এই উদ্যোগ কেবল কানাডা নয়, বিশ্ব বিজ্ঞান জগতের জন্য গর্বের বিষয় বলে মনে করছেন অনেকে।
শেষ কথা:
মহাবিশ্বের অসীম গভীরে প্রাণের সন্ধান যেন কখনো শেষ না হওয়া এক রহস্যময় অভিযান। কানাডার গবেষকদের আবিষ্কার এল ৯৮-৫৯এফ সেই যাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেলো নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে, যেখানে পৃথিবীর মতো আরেকটি ‘জীবন’ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।