প্রকাশিত :
২৪ জুন ২০২৫, ৮:৩৪:১২
বিগত কিছু সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তেলের দাম অনেকটাই চড়েছিল। ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাত বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে, যার প্রভাব পড়েছিল জ্বালানি সরবরাহ ও মূল্য বৃদ্ধিতে। তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আর কিছু দেশ শান্তিচুক্তি করতে চলায় তেলের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে নামছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
“যুদ্ধবিরতি আসলে সরবরাহ ঝুঁকি কমিয়েছে, যার ফলে বাজারে চাপ কমেছে। এর ফলে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়েছে।”
তেলের দাম ও অর্থনৈতিক প্রভাব:
দাম কমায় ভোগ্তাদের জন্য স্বস্তি এসেছে। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সরাসরি নির্ভরশীল শিল্প ও গৃহস্থালির ব্যয় কমতে পারে। তবে এই মূল্য পতন স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি’র বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, “যেকোনো নতুন সংঘর্ষ বা উত্তেজনা আবার দাম বাড়াতে পারে।”
বাংলাদেশের প্রভাব:
বাংলাদেশে তেলের দাম কমার ফলে পরিবহন ও গ্যাস মূল্যেও প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বস্তি আসবে। সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য এই সময় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় তেলের বাজারে দাম কমায় বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে। তবে সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সচেতনতা ও সমঝোতা অপরিহার্য।