প্রকাশিত :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:২৮:০২
সম্প্রতি ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কিছু বক্তব্যের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে দলটি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এ প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির ওপর বর্বর হামলা এবং পরবর্তীতে হামলাকারীদের প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় গ্রহণের খবরের ভিত্তিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের মনে যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি। এ প্রেক্ষাপটে জনপরিসরে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
দুঃখজনকভাবে, এই আলোচনার মধ্যে কারও কারও বক্তব্যে ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে যেসব মন্তব্য এসেছে এবং অনলাইন পরিসরে সেসব বক্তব্যের সঙ্গে দুঃখজনকভাবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আচরণ এবং ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ভূমিকার বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা যেভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতিসত্বর তাদেরকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, তবে এটাও অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যে কোনো দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী আপসহীন। কোনো দেশের অখণ্ডতা নিয়ে বক্তব্যের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর চেষ্টা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক আইন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আমরা দৃঢ় অবস্থানে অবিচল থাকব।