আপডেট :
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:১৪:১৮
তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিন সিনথিয়াকে (৩৮) কুমিল্লা থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরের জেলখানা মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে রাতে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সিনথিয়াকে আটক করা হয়। কুমিল্লায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। ৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার কুমিল্লা কারাগারে বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য সিনথিয়া কুমিল্লা আসেন। অপরাধ চক্রের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও পলাতক সহযোগীদের সহায়তার বিষয়ে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এর বাইরেও অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ২৭ মে কুষ্টিয়া থেকে সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, সুব্রত বাইন ছিলেন তাদের অন্যতম। একই বছর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, জমি কেনেন ও বাড়ি নির্মাণ করেন। ২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবার পলাতক হন।
২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পিছু ধাওয়ায় তিনি নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা শহরে পালিয়ে যান এবং নেপালি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রকাশ্যে অশোভন আচরণের দায়ে তাকে ভাদ্রপুর জেল ও পরে ঝুমকা কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১২ সালের ৮ নভেম্বর ঝুমকা কারাগার থেকে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ কেটে আরও ১০ জন কয়েদির সঙ্গে পালিয়ে যান সুব্রত বাইন। বাঁশকাটার চাকু দিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল।