আপডেট :
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:৫২:৩৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমের দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। রোববার রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আবারও ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, সীমান্তে পারাপারকারী চক্রের হোতা হিসেবে ফিলিপ নামক এক ব্যক্তির কথা প্রাথমিকভাবে জানা যায়। সিবিউন ও সঞ্জয় ফিলিপের নেতৃত্বে কাজ করে বলে জানা যায়। ফিলিপের অবস্থান শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে করার জন্য তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ফিলিপ ছাড়াও অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। এওছাড়া ফিলিপের সাথে কিলিং মিশনের কে বা কারা যোগাযোগ করেছে তা জানা প্রয়োজন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এ মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্টকার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।
এদের মধ্যে হুমায়ুন ও হাসি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিরা রিমান্ডে রয়েছে।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১২ ডিসেম্বর মতিঝিলে জুমার নামাজ পড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন হাদি। এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় পৌছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।