আপডেট :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৪৮:২৫
দলের সংখ্যা বেড়েছে, ম্যাচের সংখ্যাও আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে গেছে। এবার পুরস্কারের অঙ্কেও বিশ্বকাপ নতুন উচ্চতায়। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে ঘিরে আরেকটি বড় চমক দিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা—ঘোষণা করল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাইজমানি।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪৮ দলের এই বিশ্বকাপে মোট ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার তহবিল নির্ধারণ করেছে ফিফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের তুলনায় যা প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। শিরোপা জয়ী দল একাই পাবে ৫০ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬১০ কোটি টাকা।
তিন বছর আগে গতকাল ১৮ ডিসেম্বরের দিনেই ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই মহাকাব্যিক জয়ের পুরস্কার হিসেবে লিওনেল মেসির দল পেয়েছিল ৪২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫০০ কোটি টাকা)। রানার্সআপ ফ্রান্সের প্রাপ্তি ছিল ৩০ মিলিয়ন ডলার। এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি আগের আসরের তুলনায় প্রায় ১১০ কোটি টাকা বাড়িয়েছে ফিফা।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, রানার্সআপ দল পাবে প্রায় ৪০২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলের ঝুলিতে যাবে প্রায় ৩৫৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চতুর্থ হওয়া দল পাবে প্রায় ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এখানেই শেষ নয়—শেষ আটে পৌঁছে বাদ পড়া প্রতিটি দল পাবে প্রায় ২৩২ কোটি ৩ লাখ টাকা। শেষ ষোলোতে বিদায় নেওয়া দলগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় ১৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। নতুন সংযোজিত রাউন্ড অব ৩২ থেকে বাদ পড়া দলগুলো পাবে প্রায় ১৩৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এমনকি গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেওয়া দলগুলোর জন্যও থাকছে প্রায় ১০৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা করে পুরস্কার।
আগামী বছরের ১২ জুন পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের। ৪৮ দলের এই মহাযজ্ঞে এখনো নিশ্চিত হয়নি ছয়টি দলের অংশগ্রহণ। আগামী মার্চে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি দল এবং ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে চারটি দল পূরণ করবে বিশ্বকাপের শেষ ছয়টি টিকিট।
ফুটবলের মঞ্চ যেমন বড় হয়েছে, তেমনি স্বপ্নের মূল্যও—২০২৬ বিশ্বকাপ যে শুধু মাঠেই নয়, পুরস্কারেও ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।