মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পাঁচটি দেশের নাম নতুন করে যুক্ত করেছেন। তালিকায় ফিলিস্তিনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এর ফলে এসব দেশ ও ভূখণ্ডের নাগরিকেরা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড
ফিলিস্তিন ছাড়াও তালিকায় থাকা নতুন পাঁচটি দেশ হলো—সিরিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার ও দক্ষিণ সুদান। এর আগে গত জুনে ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। দেশগুলো হলো—ইরান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এ ছাড়া ট্রাম্প আরও যে সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন সেগুলো হলো- বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে হোয়াইট হাউস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটি অভিবাসন নীতি কঠোর করার ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অবস্থানের অংশ। হোয়াইট হাউস জানায়, বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আরও সীমিত ও নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্প একটি প্রোক্লামেশনও স্বাক্ষর করেছেন।
ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কঠোর অভিবাসন নীতি জরুরি। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে তিনি তার রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্যতম প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন। নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন কার্যকর থাকবে বা বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে হোয়াইট হাউস বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এর আগেও ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির সময়ে একাধিকবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ও সম্প্রসারণ করেছেন। এসব সিদ্ধান্ত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনা ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাবরই এগুলোকে বৈধ ও প্রয়োজনীয় বলে দাবি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ওয়াশিংটন। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সরাসরি ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ বলা হয়নি। এমনকি ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড’ বলতে নারাজ ট্রাম্প প্রশাসন। নথিতে ফিলিস্তিনিদের ‘পিএ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে ভ্রমণের চেষ্টাকারী ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ওয়াশিংটন। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সরাসরি ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ বলা হয়নি। এমনকি ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড’ বলতে নারাজ ট্রাম্প প্রশাসন। নথিতে ফিলিস্তিনিদের ‘পিএ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে ভ্রমণের চেষ্টাকারী ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের দুজন সদস্যকে গুলি করা হয়। তাদের একজন পরে মারা যান। এর পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও বেশি কঠোর অবস্থান নেয়। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসনের ওপর ‘স্থায়ী স্থগিতাদেশের’ ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এরও কয়েক সপ্তাহ পর তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়ালেন।