প্রকাশিত :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:০৪:০২
জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা তরুণ বিপ্লবী শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে শোকে স্তব্দ হয়ে গেছে গোটা দেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হত্যার বিচার ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে দেশের নানা প্রান্তর। ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী এই নেতা হয়ে উঠেন তরুণ প্রজন্মের এক জলন্ত পথপ্রদর্শক। তাই দেশের গণমাধ্যমের পাশাপাশি ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর গুরত্ব দিয়ে প্রচার পায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে তাকে উপস্থাপন করা হয় অনেকটা বিদ্বেষপূর্ণভাবে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডে ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে শিরোনাম করা হয়, তরুণ নেতার হত্যার পর বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের শিরোনাম করা হয়, তরুণ নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে হাদীকে শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার শিরোনাম ছিল বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী নেতা সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এতে হাদীর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের চিত্রও উঠে আসে।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিবিসির প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী তরুণ নেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা। প্রতিবেদনে হাদিকে ভারত ও হাসিনা শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়। বার্তা সংস্থা এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের আন্দোলনকারী একটিভিস্টের মৃত্যুর পর বিক্ষোভকারীরা দুটি দৈনিকের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রনেতার মৃত্যুতে অস্থিরতায় কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গণতন্ত্রপন্থী নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদশে সহিংসতা। এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আহত তরুণ নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডনের প্রতিবেদনের শিরোনাম বাংলাদেশি অভ্যুত্থানের গুলিবিদ্ধ নেতা সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম সামা টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রনেতা ওসমান হাদীর মৃত্যুর পর বাংলাদেশে বিক্ষোভ। এআরআই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রনেতার মৃত্যুতে অস্থিরতায় কেঁপে উঠল বাংলাদেশ।
ভারতীয় সাংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেটার বাংলাদেশ মানচিত্রের নেপথ্যে থাকা ভারতবিরোধী নেতা মৃত্যু। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে উগ্রপন্থী নেতা হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতবিরোধী নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে বিক্ষোভ।