প্রকাশিত :
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১৯:৫৯
রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা ও তদবিরনির্ভর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ব্যবসায়ীদের কাছে জবাবদিহি করার চর্চা চালু করতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেল বে ভিউয়ের মেজবান হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবসায়ীদের আয়োজনে বাণিজ্য সংলাপের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণত ব্যবসায়ীদের রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী বা এমপিদের কাছে যেতে হয়। কিন্তু আমরা সেই সংস্কৃতি বদলাতে চাই। ব্যবসায়ীদের যেন আমাদের কাছে আসতে না হয়, আমরাই যেন তাদের কাছে যাই।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, গত ছয় মাস ধরে দেশের বিভিন্ন বিভাগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই চর্চার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তন আনা।
তিনি জানান, আমরা যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাই, তখনও আপনাদের কাছে ফিরে আসব, আপনাদের কথা শুনব। অনেকের ধারণা, ক্ষমতা চলে গেলে আবার আগের মতো চলবে। কিন্তু তা আর হবে না। বাংলাদেশ আর আগের মতো চলবে না।
সততা ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতাভিত্তিক রাজনীতি আমরা আর দেখতে চাই না।
ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে জটিলতার কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, একটি ব্যবসার অনুমোদন নিতে গিয়ে যেসব জটিল প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়, সেখান থেকে ব্যবসায়ীদের বের করে আনতে হবে। দুর্নীতিবাজ, অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থাকবে।
তিনি জানান, ই-রেগুলেশন ও অটোমেশনের মাধ্যমে ব্যক্তিনির্ভর ক্ষমতা কমিয়ে আনতে হবে। যেখানে ব্যবসায়ীরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, সেখান থেকে তাদের বের করে আনা হবে।
এসএমই খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এসএমইকে শক্তিশালী না করতে পারলে সামগ্রিক অর্থনীতি ও জিডিপির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে সব রপ্তানি খাতকে শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের জন্য বন্ড ওয়্যারহাউস সুবিধা আরও কার্যকর করা হবে।
অটোমেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরাসরি ফিজিক্যাল কন্টাক্ট কমিয়ে আনতে হবে। শুধু ব্যবসায়ী নয়, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও এই চর্চা কমাতে হবে।