প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২০:৫১
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ১৪ মাসে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন প্রায় সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মী। তবে বহিষ্কৃতদের মধ্যেই কয়েকজনকে আবারও দলে ফিরিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ধানের শীষে।
গত ২৪ অক্টোবর বিএনপির সাত নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তা উল্লেখ করা হয়।
তবে, এর মধ্যে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে চট্টগ্রাম-১ আসনে (মিরসরাই) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন বাচ্চুকে বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তাকে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের প্রার্থী করা হয়েছে।
পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের প্রার্থী করা হয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালকে। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকেও বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
২০২৪ সালে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দলের নির্দেশনা না মেনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোকাররম হোসেন সুজন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাকেও রংপুর-১ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
এছাড়া ২৪ অক্টোবর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে রংপুর-২ (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় মো. আলী সরকারকে। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে সাতক্ষীরার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আব্দুর রউফকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। এ কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এবার তিনি সাতক্ষীরা-২ আসন (সদর-দেবহাটা) থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছিলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। পরে তাকে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। তবে প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, খুলনা-২ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক এই সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য।
গত ২৬ আগস্ট বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে শোকজ করা হয় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমানকে। পরে তিনি জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তার প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে তিন মাসের আগেই দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসন থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।