প্রকাশিত :
২৯ জুন ২০২৫, ৫:৫৩:৪৩
সাম্প্রতিক অর্জনসমূহ:
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: ২০২৪ সালে দেশের অর্থনীতি ৭% এরও বেশি প্রবৃদ্ধি করেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। নতুন শিল্পায়ন, প্রযুক্তিতে অগ্রগতি এবং রপ্তানি বৃদ্ধি এই সফলতার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
সামাজিক উন্নয়ন: দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি, শিক্ষার প্রসার এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বছরের ভিতরে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি: শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অবদান বৃদ্ধি, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতৃত্বের ভূমিকায় ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ:
- অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও বিশৃঙ্খলা: অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনগণের মাঝে বৈষম্য হ্রাসে সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
- রাজনৈতিক উত্তেজনা: সময় সময় রাজনৈতিক সংঘাত এবং আন্দোলন দেশের সামাজিক অবস্থা জটিল করে তুলেছে।
- আন্তর্জাতিক পরিবেশ: বিশ্ব রাজনীতির অস্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে।
২০২৪-এর বীরত্বের বৈশিষ্ট্য:
উদ্যম ও সংগ্রাম: সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশের মানুষ নানা ক্ষেত্রেই বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন।
নতুন ইতিহাস গঠন: বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম নতুন চিন্তা ও উদ্যোগে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে, যা ইতিহাসে নতুন ধারা যোগ করতে পারে।
জাতীয় ঐক্য: সংকটকালে ঐক্যবদ্ধ থেকে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাবকে বিজয়ের নতুন অধ্যায় হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞ মতামত:
ইতিহাসবিদ ড. কাজী হাসান আলী:
বিজয় সরণিতে নতুন বীরত্বের অধ্যায় যোগ করতে হলে শুধু অর্থনৈতিক বা সামরিক নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে অবদান রাখতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ডা. সুমন চৌধুরী:
২০২৪-এর অর্জনগুলো দেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে যদি আমরা সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকি।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও আহ্বান:
- বিভিন্ন খাতে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও পরিবেশে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।
- তরুণদের নেতৃত্বে নতুন যুগ: তরুণ সমাজকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব বুঝিয়ে প্রেরণা যোগানো জরুরি।
- সমাজের সকল স্তরের অংশগ্রহণ: দেশের উন্নয়নে প্রতিটি মানুষের ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
২০২৪-এর অর্জন ও সংগ্রাম যথাযথ মর্যাদা পেলে তা বাংলাদেশের বিজয় সরণিতে নতুন বীরত্বের অধ্যায় হিসেবে যোগ হবে। ইতিহাসের পরবর্তী পাতায় এই অধ্যায় থাকবে গৌরবের ও প্রেরণার উদাহরণ হিসেবে।