আপডেট :
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৫:০৫
জান্নাতে যাওয়ার কথা বললেও এর আগে ইহকালে কী হবে, সেই বিষয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীদের কোনো কথা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়নে ‘বিএনপির দেশগড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যে দলের কোনো নীতি আদর্শ নেই, কেবল ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চায়, তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। ধর্ম ব্যবসায়ী ভাইরা কেবলই বলছেন, এটাতে ভোট দিয়ে তরতরিয়ে জান্নাতে যাওয়া যাবে। এর আগে ইহকালে কী হবে, সেই বিষয়ে কোনো কথা নেই!’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা জনগণের যা করতে চাই, সেই পরিকল্পনা তুলে ধরতে চাই। আমাদের এমনভাবে জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক চর্চা করতে হবে, যাতে অন্য কোনো সংগঠন ধারেকাছে আসতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক যাত্রায় যারাই বাধার সৃষ্টি করবে, তাদের প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ ১৬ সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমজনতার সঙ্গে সঙ্গে যদি ‘আম’ভাবে কথা না বলে ইংরেজিতে বলা হয়, তাহলে ‘কাম’ হবে না। ইহকালে দ্বীন-দুনিয়াতে আপনাদের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কী করবো, সেটা বলতে হবে। গ্রামে গিয়ে বলতে হবে এ কৃষি কার্ড কৃষকের মুক্তির সনদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার মহান ঘোষক। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সবই তার সময়ে নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও বিএনপির অবদান। তারপর হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা চালু করে। গণতন্ত্রের মুখোশে বাকশাল চালু করে। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা চালু করা হয়।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন চরিত্র ও পলিটিক্যাল হনন বেশি। তাই এখন বেশি কাউন্টার দিতে হবে। বিদেশ থেকে কেউ এমনভাবে লিখছে যাতে মনে হয়, তারাই জ্ঞানের জাহাজ, বাকিরা মুর্খ। তাদের কোনো কিছুর দায়দায়িত্ব নেই, দেশপ্রেমের বালাই নেই।