“মার্চ–টু–এনবিআর” কর্মসূচিতে রাজস্ব অফিসে অচলাবস্থা
সংস্কার অনিশ্চয়তায় রাজস্ব আদায় স্থবির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মন্ত্রনালয়ের পদক্ষেপ ব্যর্থ
প্রকাশিত :
২৮ জুন ২০২৫, ৮:১৪:৪৬
আপডেট :
২৮ জুন ২০২৫, ৯:১২:২১
ঘটনার বিস্তারিত ও প্রশাসনিক নজর
- সকাল থেকেই কর্মস্থলে উপস্থিতি ছেড়ে ঢাকাসহ সারাদেশের অফিসগুলোতে কর্মসূচি পালন করছে কর্মকর্তাবৃন্দ ।
- দেশের শুল্ক ও কর অফিসে ভ্যাট, আয়কর ও কাস্টমস বিভাগে গতকাল রাত থেকেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে কর্মকর্তারা; তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা চলমান থাকবে ।
- ঢাকায় এনবিআর ভবনের সামনে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড মোতায়েন রয়েছে; কার্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে ।
আন্দোলনের দাবি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া
- চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে (১) এনবিআর অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল (২) বর্তমান চেয়ারম্যান অপসারণ (৩) সংস্কার পরামর্শকমিটির সুপারিশ জনসমক্ষে প্রকাশ (৪) মন্তব্যভুক্ত খসড়া সংশোধনসহ সকল স্টেকহোল্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করে সংস্কার কার্যান্বয়ন ।
- তবে অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন বৈঠকের পর সিদ্ধান্তে এসেছে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান, বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনা ও আগামী মঙ্গলবার তিন পক্ষের আলোচনার জন্য সঙ্গতি স্থায়ীত্ব ।
- আন্দোলনকারীরা এখনও দাবি প্রত্যাহারে আগ্রহী নয় এবং বৈঠকের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি না পাঠানোর বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন ।
অচলাবস্থা ও অর্থনৈতিক প্রভাব
- সমগ্র বিভাগে শাটডাউন ও কর্মসূচির ফলে রাজস্ব আদায়ে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে; রপ্তানি–আমদানি ও ব্যবসায় এটা সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
- এনবিআর একাধিক ফর্ম ও সেবা–প্রণালী বন্ধ রয়েছে; ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য আপডেট বন্ধ থাকার কারণে ব্যবহারকারীরা সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছেন ।
বিশ্লেষণ
- এনবিআরের এই সঙ্কট সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ ও সরকারি সেবা–প্রদান ব্যবস্থায় বড় ধরনের ফাটল তৈরি করছে।
- প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ দাবি করলেও, সরকার ও আন্দোলনকারী গোষ্ঠীর মধ্যে ইতিমধ্যে তৈরি পলিটিক্যাল বিভাজন দৃশ্যমান হচ্ছে।
- অবিচ্ছিন্ন শাটডাউন পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও জাতীয় রাজস্ব লাভও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।